বৈঠকে তারা আঞ্চলিক রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। অ্যালিসন হুকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতিও সমর্থন জানান। এ সময় রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৬০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার জন্য খলিলুর রহমান আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
খলিলুর রহমান বলেছেন, তিনটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি করেছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে এই চুক্তির কোন অংশ পরিবর্তন পরিমার্জন বা বাতিল করতে পারবে। এ ছাড়া পাল্টা শুল্ক ভবিষ্যতে আরও কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ড. খলিলুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে যে ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত হয়েছে, তা আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর অবস্থানের মধ্যে পড়ে। ভারত এখনো এই হার পায়নি। কানাডাও আলোচনায় পিছিয়ে থাকায় শুল্কে বড় ধাক্কা খেয়েছে। অন্তত আমরা এতদূর আলোচনা এগিয়ে নিতে পেরেছি, এটিই আমাদের অর্জন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে আলোচনা হয়।